,

মুক্তাঞ্চলের মঞ্চে দর্শকদের সামনে নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন ৬ বছরের শিশু থেকে ষাটোর্ধ্ব কবি

আমরা সকলেই কবিতা লিখি, জীবনে একবারের জন্যেও কবিতা লিখার চেষ্টা করেন নি এমন বাঙ্গালীর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। ছেলেবেলায় খেলার ছলে, কৈশোরে প্রেম, যৌবনে বিদ্রোহ কিংবা জীবনবোধ সকল ভাবকেই আমরা প্রকাশ করতে চাই কবিতায়। কিন্তু পাছে লোকে কিছু বলে ভেবে সেই কবিতা অন্যকে শোনাবার সাহস জুটে না অনেকেরই। কবিতা অযত্নে পড়ে থাকে ডায়রির পাতায়। সেই সাহস আর অনুপ্রেরণাকে জাগিয়ে তুলতে এবারও মুক্তাঞ্চল সাহিত্য উৎসব এর আয়োজনের অংশ ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আলোচনা। একই মঞ্চে দর্শকদের সামনে নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন ছয় বছরের শিশু থেকে ষাটোর্ধ্ব কবি।
আয়োজকদের মধ্যে সুদীপা বিশ্বাস জানান, ‘মুক্তাঞ্চলের প্রতিটি উৎসবেই আমরা স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আলোচনা আয়োজন করে থাকি। নবীনদের জন্য নবীনদের দ্বারা দিনব্যাপী আয়োজিত সাহিত্য উৎসবের এই পর্বে নবীন লেখকরা তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। ২ জন সিনিয়র লেখকদের একটি প্যানেল থাকে, যারা ঐ কবিতায় কোন জায়গাটি ভালো হয়েছে, কোন জায়গাটি আরো ভালো হতে পারতো ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন।’
অদ্বিতীয়া পদ্য বলেন, ‘আমাদের এবারের মঞ্চে সর্বকনিষ্ঠ কবি হিসেবে নিজের লেখা ছড়া পড়ে শুনিয়েছে ছয় বছরের কবি যুবরাজ দে চৌধুরী। ছিলেন ষাটোর্ধ্ব কবিরাও। এবার আমাদের মধ্যে কবিতা পাঠ করতে আমাদেরকে খুঁজে নিয়েছিলেন এমন একজন কবি যিনি পেশায় রিকশাচালক। যিনি কখনো আমাদেরকে অনলাইনে দেখেন নি। তিনি স্বউদ্যোগী হয়ে আমাদের খুঁজে বের করেছেন। এই বিষয়টি আমাদের সবাইকে আরো কাজ করে যাওয়ার উৎসাহ যুগিয়েছে।’
এবছর স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আলোচনায় আমন্ত্রিত অতিথি ও আলোচক হিসেবে ঢাকা থেকে এসেছিলেন কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রকাশক ও সম্পাদক নাহিদা আশরাফী। এবং আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের সন্তান কবি সিদ্দিকী হারুন।


     এই বিভাগের আরো খবর